Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ নভেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড

 

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:

রেশম কার্যক্রম একটি কৃষিভিত্তিক শিল্প। গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন, গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়নে এ শিল্প গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড বিগত ৩ বছরে ১৮.৯৭ লক্ষ তুঁতচারা উৎপাদন ও বিতরণ করেছে, ৮১৭ মে.টন রেশম গুটি উৎপাদন করেছে, জার্মপ্লাজম ব্যাংকে তুঁতজাতের সংখ্যা ৭৩ থেকে ৮৪ টিতে এবং রেশমকীট জাতের সংখ্যা ১০১ থেকে ১১৪ টিতে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে; নতুন ও উচ্চফলনশীল ১১ টি তুঁতজাত এবং ১৩ টি রেশমকীটের জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে; এছাড়াও ১০.০২ লক্ষ রোগমুক্ত রেশম ডিম (ডিএফএল) উৎপাদন এবং বোর্ডের আওতায় ৮ টি মিনিফিলেচার কেন্দ্রের মাধ্যমে ২.৪৮ মে.টন রেশম সুতা উৎপাদন সহ ২২৪৫ জন কৃষককে রেশম চাষ বিষয়ক কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ থাকা রাজশাহী রেশম কারখানা স্বল্প পরিসরে চালু করে পর্যায়ক্রমে ১৯ টি পাওয়ার লুমে এ পর্যন্ত ২৮২১৩ মিটার থান কাপড় উৎপাদন করা হয়েছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ৪১ টি জেলার ৯৯ টি উপজেলায় আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের ৫২৮ টি সমিতির ২৩,৪১৬ জন সদস্যদের মধ্যে জরিপ করে ২৬২৪ জন চাষীকে রেশম চাষে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য তুঁতচাষীদের উৎপাদিত গুটির মূল্য সহ সকল আর্থিক সহায়তাকে মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে।

সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ:

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ হচ্ছে: বোর্ডের বীজাগারসমূহ এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকান্ডের ব্যয়ভার প্রকল্প নির্ভর হওয়ায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনা করতে না পারা, রেশম গুটির সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থার অভাব, আবহাওয়া সহিষ্ণু আরও উন্নত জাতের রেশম পলু উৎপাদন,বীজাগার সমূহে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও উন্নত যন্ত্রপাতির সংকট , রেশম চাষে সম্পৃক্ত চাষী/ রেশম শিল্প মালিক ও উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে প্রয়োজনীয় মূলধন প্রাপ্তির সুযোগে সীমাবদ্ধতা এবং রেশম বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন রাজশাহী রেশম কারখানা ও ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা পূর্ণরুপে চালু করা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

আগামী ৫ বছরে অর্থাৎ ২০২৬-২৭ অর্থবছরের মধ্যে ৪১.০০ লক্ষ তুঁতচারা উৎপাদন, ২৯.৫০ লক্ষ রোগমুক্ত রেশম ডিম উৎপাদন, ১৫০০ মেঃ টন রেশম গুটি উৎপাদন এবং ১২৯.০০ মেঃ টন রেশম সুতা উৎপাদন করা হবে। জার্মপ্লাজম ব্যাংকে তুঁতজাতের সংখ্যা ২০২৬-২৭ অর্থ বছরের মধ্যে ৮৬ টিতে এবং রেশমকীট জাতের সংখ্যা ১১৬ টিতে উন্নীত করা; নতুন আবহাওয়া সহিষ্ণু আরও ৩ টি তুঁতজাত এবং ৩ টি রেশমকীটের জাত উদ্ভাবন করা হবে। রেশম চাষে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ১০০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। নতুনভাবে ৭৫,০০০ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এছাড়াও রাজশাহী ও ঠাকুরগাও রেশম কারখানা পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা হবে।