Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ নভেম্বর ২০২২

পাট অধিদপ্তরের সাফল্য

 

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:

পাট আইন, ২০১৭ এবং দি জুট (লাইসেন্সিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) রুলস, ১৯৬৪ এর আলোকে পাটের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটচাষ সম্প্রসারণ, গুণগতমান উন্নয়ন, পাট শিল্পের বিকাশ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। বিগত ৩ (তিন) বছরে পাট আইন, ২০১৭ এর অধীন ৪০৮৮৯ সংখ্যক লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে পরিদর্শন ফি খাতে ননট্যাক্স রেভিনিউ বাবদ রাজস্ব খাতে জমা হয়েছে ১১ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা। “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতমূলক ব্যবহার আইন, ২০১০” এর অধীনে প্রণীত বিধিমালার তফসিলে ১৯টি পণ্য (ধান, চাল, গম, ভূট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়া, পোল্ট্রি ফিড ও ফিস ফিড) মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিগত ৩(তিন) বছর ৩৬৪৯টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। উক্ত আইন বাস্তবায়নের ফলে প্রতি বছর অভ্যন্তরীণ বাজারে ১৯০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে সরকারী/বেসরকারী পাটকলে উৎপাদিত পাটের বস্তার মধ্যে প্রতি বছর প্রায় ৩০-৩৫ কোটি ব্যবহৃত হয়েছে। পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধী “উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় ১০১০৮৮ জন পাটচাষীকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পাট ও পাটবীজ উৎপাদনের নিমিত্ত ১০ লক্ষ ৭১ হাজার জন পাটচাষীকে বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক প্রদান করা হয়েছে। লাইসেন্স প্রদানে মোবাইল এ্যাপস (সোনালী আঁশ) তৈরী করা হয়েছে।

সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ:

মাঠ পর্যায়ে পাট অধিদপ্তরের অফিসসমূহ ভাড়া বাড়ীতে পরিচালনা; ৩টি পরীক্ষাগারের যন্ত্রপাতি ও ভবনের সংস্কার/আধুনিকীকরণ না হওয়া; পাট উৎপাদনে উন্নত পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা; ২২টি জেলায় পাট অধিদপ্তরের অফিস সেট-আপ ও জনবল না থাকা; পাট ও পাটজাত পণ্যে অন্যান্য কৃষি পণ্যের ন্যায় ভূর্তুকি না পাওয়া; পাট, পাটবীজ, পাট চাষযোগ্য জমি, পাটচাষীগণের প্রকৃত সংখ্যা বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক জরিপ ও তথ্য ভাণ্ডার না থাকা এবং নানাবিধ কারণে প্রাকৃতিক জলাধার সংকুচিত হওয়ায় পাট পচনে পর্যাপ্ত পানির স্বল্পতা। শূন্যপদে জনবল নিয়োগ করতে না পারা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ ও বিধিমালা ২০১৩ এবং পাট আইন ২০১৭ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন; পাটচাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পাট অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে ৬৪ জেলায় পাট অফিস ভবন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; পাট বিধিমালা ২০২২ প্রণয়ন; পাট অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন; পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংম্ভরতা অর্জন; জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি; অনলাইনের মাধ্যমে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন; ৩টি পরীক্ষাগার আধুনিকীকরণ এবং পাট ও পাটপণ্যের উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার২০১৮ অনুসরণে পাটের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং পাট উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ।