Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ মে ২০২৩

বাংলাদেশ জুট করপোরেশন

 

২০.০  ভূমিকা:

পাট চাষীদের পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, পাটের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বিদেশে পাটের বাজারের প্রসার ও মানোন্নয়নের  লক্ষ্যে পাট ক্রয় ও বিপনণের সাথে জড়িত নিম্নলিখিত ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৯৮৫ সালের ১লা জুলাই ৩০নং অধ্যাদেশ মূলে একীভূত করে সরকার বাংলাদেশ জুট করপোরেশন গঠন করে।যথা:

  1. বাংলাদেশ জুট মার্কেটিং করপোরশন(প্রতিষ্ঠাকাল  ১৯৫৭);
  2. স্পেশাল প্রপার্টি জুট সেল (প্রতিষ্ঠাকাল  ১৯৬৫);
  3. জুট ট্রেডিং করপোরেশন (প্রতিষ্ঠাকাল   ১৯৬৭);
  4. এ পি সি র‌্যালি বাংলাদেশ লি: (প্রতিষ্ঠাকাল   ১৯৭১);
  5. বাংলাদেশ জুট এক্সপোর্ট করপোরেশন (প্রতিষ্ঠাকাল  ১৯৭২);

 

২০.০১ পটভূমি:

 

বিশ্ব বাজারে পাটের চাহিদা হ্রাস, অব্যাহত লোকসন ও প্রশাসনিক প্রয়োজনে ০৮ বৎসরের মধ্যে ১৯৯৩ সালে ২৪নং আইনবলে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনকে বিলুপ্ত করা হয়। বিলুপ্তি’র পর ১১-১০-১৯৯৩ তারিখে সংস্থাটির সম্পদ/সম্পত্তিসমূহ বিক্রয় না হওয়া পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্থা গুটানোর কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ২৪৪ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে নিয়ে বিলুপ্ত সেল গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে  প্রায় ২৮ বৎসর অতিক্রান্ত হলেও বিলুপ্ত সংস্থার সম্পত্তিসমূহের বিক্রয় ও সংস্থা গুটানোর কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। বিলুপ্ত এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবলের মধ্যে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ, মৃত্যুজনিত কারণে ৩০ জুন ২০২২ তারিখ পর্যন্ত সময়ে প্রেষণে ০২(দুই) জনসহ মোট ০৮ (আট) জন স্থায়ী  কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োজিত ৪৮ জন কর্মচারী সংস্থায় কর্মরত আছেন।

 

২০.০২ বিজেসির কার্যক্রম:

বিলুপ্ত এ প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল বিজেসির সম্পত্তিসমূহ বিক্রয় করে বিলুপ্ত সেলকে গুটিয়ে ফেলা। পরবর্তীতে ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালীন প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক বিজেসির মালিকানাধীন সম্পত্তিসমূহ বিক্রয় না করে সেসকল সম্পত্তি বাৎসরিক ভিত্তিতে লিজ/ভাড়ার আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ জুট করপোরেশন (বিজেসি’)র মালিকানাধীন দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত (১) সম্পত্তিসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও লিজের আওতায় আনা, (২) বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাসমূহ তদারকি করা এবং (৩) এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি পরিশোধ করা বর্তমানে এ সংস্থার মূল কাজ। প্রতিষ্ঠানের আওতায় রংপুর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, চট্রগ্রাম ও খুলনাসহ সর্বমোট ০৫(পাঁচ) টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। 

 

২০.০৩ সম্পত্তির পরিমাণ:

বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের বিভিন্ন জেলায় অবিক্রিত মোট ১৬৪ টি অংগন রয়েছে । উক্ত অংগনে মোট সম্পত্তি’র পরিমান- ২৯৫.১৭৯৬৫ একর। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে দখলীয় সম্পত্তির পরিমান-১০৫.১৩৩৯ একর  এবং বেদখলীয় সম্পত্তির পরিমান ১৯০.০৪৫৭৫ একর (কপি সংযুক্ত)।

 

২০.০৪  লিজ গ্রহণের আবেদন পত্রের ছক:

ইতিপূর্বে  ভাড়া/ লিজ গ্রহণের ক্ষেত্রে  সংস্থার নির্ধারিত কোন ফরম না থাকায় অনেক তথ্য ব্যতিরেকে আবেদনের মাধ্যমে ভাড়া/লিজ নেওয়ার প্রচলন ছিল। বর্তমানে সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে একশ টাকা পে-অর্ডার সন্নিবেশিত করে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভাড়া/জের আবেদন  করতে হচ্ছে। সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে প্রতিযোগিতামূলক আবেদন করায় ভাড়া/লিজ এর হার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০.০৫ লিজের শর্তাবলী:

ইতোপূর্বে লিজের শর্তাবলী দুর্বল থাকায় বিজেসি’র স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি। বর্তমানে লিজের শর্তাবলী নতুনভাবে প্রণয়ন করায় এবং লিজের শর্তাবলী আইনগতভাবে মান সম্পন্ন হওয়ায় বিজেসি’র জবর দখল/ বিনা ভাড়ায় থাকা সকল ভূ-সম্পত্তি ক্রমান্নয়ে সংস্থার দখলে ও ভাড়ার আওতায় আসছে ।এতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্ধারিত ছকে তথ্যের কলাম সংযোজনের পর প্রকৃত ব্যবসায়ীগণ ব্যতীত অন্য কারো বিজেসি’র সম্পত্তি  ভাড়া/লিজ নেওয়ার সুযোগ নেই।

 ইতোপূর্বে গত ২৮ বৎসরে যে সমস্ত ভূ-সম্পত্তি লিজ /ভাড়া দেওয়া হয়নি সম্পত্তিগুলো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ভাড়ার আওতায় আসছে। লিজের শর্তাবলী দূর্বলতার কারণে লিজ গ্রহীতা কর্তৃক প্রায় অর্ধ শতাধিক মামলার উদ্ভব হয়েছিল। বর্তমানে লিজের শর্তাবলী নতুন ভাবে প্রণয়ন করায় লিজ গ্রহীতা কর্তৃক এরূপ মামলা দায়ের করার সুযোগ থাকবে না ।

 

২০.০৬ ভূমি ব্যবস্থাপনা:

সংস্থার ভূ-সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাপক পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন করা হয়েছে। ২০০১ সালে বিক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে বিক্রিত সম্পত্তি’র মূল্য পরিশোধে খেলাপী ক্রেতাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ৩০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে ৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে খেলাপী ক্রেতাদের নিকট থেকে বিজেসি’র স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এবং লিজের আওতায় আনার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়াছে। এতদিন বিজেসি’র ভূ-সম্পত্তি  লিজ গ্রহীতা/ভাড়াটিয়া একসনা লিজ/ভাড়া নিয়ে আর কোন নবায়ন না করেই বিনা ভাড়ায় ভোগ দখল করে আসছিল। উল্লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তাদেরকে লিজের আওতায় আনা হয়েছে।

২০.০৭ আর্থিক সংক্রান্ত:

            বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের মালিকানাধীন দেশের বিভিন্ন  সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে গচ্ছিত স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ৬৮,৫০,০০,০০০/- (আটষট্রি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা এবং বিজেসির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিলের স্থায়ী আমানতের টাকার পরিমাণ ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা।

২০.০৮ বিক্রয় সংক্রান্ত:

২০১২ সালের পরে  কোন সম্পত্তি বিক্রয় করা হয়নি। তবে দীর্ঘদিন পূর্বে বিক্রয়কৃত সম্পত্তি  প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন/ দলিল সম্পাদিত করা হয়েছে ।

২০.০৯ লিজ সংক্রান্ত:

২০২১-২২ অর্থ বছরে নতুন করে ০১ টি সম্পত্তি লিজ/ ভাড়া প্রদান করা হয়েছে ।

২০.১০ মামলা সংক্রান্ত:

           উল্লিখিত সময়ে মোট ০৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ০৩ টি মামলার রায় সংস্থার পক্ষে এবং ০২টি  মামলার রায়  সংস্থার বিপক্ষে হয়েছে । ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত  ২৮৭টি মামলা চলমান আছে।

২০.১১ নিরীক্ষক আপত্তি সংক্রান্ত:

            উল্লিখিত সময়ে কোন নিরীক্ষা আপত্তি নিস্পত্তি হয়নি। বর্তমানে নিরীক্ষা আপত্তির সংখ্যা ১৫২টি।

২০.১২ অবসর গ্রহণ ও চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত :

              উল্লিখিত সময়ে ০২ জন কর্মচারী অবসর গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

 

 সম্পত্তির তালিকা