Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ নভেম্বর ২০২২

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় (সাফল্য)

 

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সম্প্রসারণ তথা শিল্পায়ন, পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সর্বোপরি রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের বস্ত্র খাতে রপ্তানি আয় ২০১৯-২০,২০২০-২১ ও ২০২১-২২ (মে/২২ পযর্ন্ত) অর্থবছরে যথাক্রমে ৮৩%, ৮৪.৪২%, ৮৪.৪৯% ছিলো। বস্ত্র আইন ২০১৮ এর ধারাবহিকতায় বস্ত্র বিধিমালা -২০২১ জারী করা হয়েছে। বস্ত্র খাতে ১২৬৮১ জন শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। বিজেএমসি'র বন্ধ ঘোষিত দুটি মিল লীজ ভিত্তিতে চালুর লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং দু্ইটিতেই ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়েছে । বিটিএমসি’র ১৬টি বন্ধ মিল চালু করার নিমিত্ত ১ম পর্যায়ে ২টি মিলের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত ২টি মিলের মধ্যে ১টি মিল হস্তান্তর করা হয়েছে ।২য় পর্যায়ে ৪টি মিল চালু করার লক্ষ্যে গত ১৮.০১.২০২২ তারিখে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহবান করা হয়েছে । রাজশাহী রেশম কারখানার ১৯টি লুম চালুর মাধ্যমে ২৮২১৩ মি. রেশম বস্ত্র উৎপাদন হয়েছে। ৪১ টি জেলার ৯৯ টি উপজেলায় আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের ৫২৮ টি সমিতির ২৩,৪১৬ জন সদস্যদের মধ্যে ২৬২৪ জন চাষীকে রেশম চাষে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। জাতীয় রপ্তানিতে পাট ও পাটজাত পণ্য ২০২০-২১ অর্থ বছরে ২য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে । পাট আইন, ২০১৭ এর অধীন ৪০৮৮৯ টি লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করা হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ বাস্তবায়ন হওয়ায় পাটপণ্যের অভ্যন্তরীন ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রায় ৩৪ কোটি পাটের বস্তা ব্যবহ্রত হয়েছে। জেডিপিসির সহায়তায় বহুমূখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী ৮১৪ জন উদ্যোক্তা কর্তৃক ২৮২ ধরনের বহুমূখী পাটপণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে ,যা পাটপণ্যমেলায় প্রদর্শন ও বিপণনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ:

বস্ত্র খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বস্ত্র আইন, ২০১৮ এর ধারাবাহিকতায় জারীকৃত বস্ত্র শিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১ বাস্তবায়ন এবং বায়িং হাউজ নিবন্ধন নীতিমালার আওতায় স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা প্রদান, উৎপাদন উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয় সাধন। বন্ধ ঘোষিত সরকারি পাটকল ও বস্ত্রকলগুলো চালু করা। বস্ত্র ও পাট খাতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংগতি রেখে দক্ষ ব্যবস্থাপক ও কর্মী তৈরি ,তাঁতীদের নিজস্ব পেশায় টিকিয়ে রাখা এবং বস্ত্র ও পাট খাতে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতকে অধিকতর কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

বন্ধ ঘোষিত সরকারি পাটকলগুলো লীজ পদ্ধতিতে দ্রুত চালু করা। চর্তুথ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ প্রযুক্তিবিদ তৈরিতে ২০২৭ এর মধ্যে নতুন ১৫(পনের) টি টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন। ২০২৪ সালের মধ্যে বস্ত্র ও পাট জাদুঘর স্থাপন এবং জামদানি পল্লী স্থাপন।পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ । বস্ত্র, পাট, তাঁত ও রেশম খাতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন। বস্ত্র ও পাট খাতের তথ্য সংরক্ষণের জন্য ২০২৫ এর মধ্যে এমআইএস স্থাপন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর/সংস্থার সেবা ২০২৭ এর মধ্যে অনলাইনে প্রদান । বস্ত্র ও পাট খাত সংশ্লিষ্ট ভূমি ব্যবহার নীতিমালা প্রস্তুতকরণ । তাঁতীদের ঋণ সহায়তা প্রদান এবং রেশম সুতা ও রেশম বস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি।