পটভূমিঃ |
বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট দেশে রেশম সেক্টরে উন্নয়নের লক্ষ্যে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির একমাত্র প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ৩ জানুয়ারি ১৯৬২ সালে রেশম সেক্টরে কারিগরি সহায়তা প্রদান করার জন্য সিল্ক কাম ল্যাক রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং সিল্ক টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে শিল্প অধিদপ্তরের অধীনে রাজশাহী শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ইনস্টিটিউটকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার অধীনে নেয়া হলে ১৯৭৪ সালে ইনস্টিটিউট দুটিকে একীভূত করে সিল্ক রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামকরণ করা হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের আওতাধীনে আসে এবং বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারেগপ্রই) নামে পুন: নামকরণ করা হয়। ২০০৩ সালে ২৫ নং আইন বলে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড থেকে পৃথক করে সরাসরি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। ২০১৩ সালে ১৩ নং আইন বলে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশন কে একীভূত করে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়।
বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল আইন, ২০১২ মোতাবেক কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় National Agricultural Research System (NARS)- এর সদস্যভূক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর ৫টি গবেষণা শাখা যথা: তুঁতচাষ, রেশমকীট, সেরি-রসায়ন, সেরি-রোগতত্ত্ব, রেশম প্রযুক্তি শাখা ও একটি প্রশিক্ষণ শাখা রয়েছে। এছাড়াও বারেগপ্রই- এর নিয়ন্ত্রণাধীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার চন্দ্রঘোণায় একটি আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র (আরেগকে)এবং পঞ্চগড় জেলার সাকোয়ায় একটি জার্মপ্লাজম মেইনটেন্যান্স সেন্টার (জিএমসি) নামক ২ টি আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
রূপকল্প (Vision) |
রেশম প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গতিশীল গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
অভিলক্ষ্য (Mission) |
লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে রেশম শিল্পকে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে উন্নীতকরণ।
উদ্দেশ্য (Objectives) |
কার্যক্রম (Functions) |
প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করে দেশে দরিদ্রতা হ্রাসকরণসহ রেশম শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহায়তা প্রদান।
বারেগপ্রই, রাজশাহী:
আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র (আরেগকে), চন্দ্রঘোনা, রাঙ্গামাটি র্পাবত্য জেলা:
জার্মপ্লাজম মেইটেন্যান্স সেন্টার (জিএমসি), সাকোয়া, পঞ্চগড়:
জনবল |
ধরণ |
অনুমোদিত পদ |
কর্মরত জনবল |
শূন্যপদ |
পরিচালক (সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত) |
০১ |
০১ |
০০ |
গ্রেড-৩ |
২ |
১ |
১ |
গ্রেড-৪ |
১ |
০ |
১ |
গ্রেড-৫ |
১ |
০ |
১ |
গ্রেড-৬ |
১২ |
১ |
১১ |
গ্রেড-৯ |
২২ |
০৯ |
১৩ |
গ্রেড-১০ |
০৮ |
০৫ |
০৩ |
গ্রেড-১১ |
১৬ |
৪ |
১২ |
গ্রেড-১৩ |
১ |
১ |
০ |
গ্রেড-১৪ |
৮ |
৪ |
৪ |
গ্রেড-১৬ |
২৪ |
১৭ |
৭ |
গ্রেড-১৭ |
২ |
১ |
১ |
গ্রেড-১৮ |
১৩ |
৬ |
৭ |
গ্রেড-২০ |
১৫ |
১২ |
৩ |
আউট সোর্সিং |
২ |
০ |
২ |
সর্বমোট = |
১২৭ |
৬১ |
৬৬ |
৮. আওতাধীন আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রসমূহ:
ক. রিজিওনাল সেরিকালচার রিসার্চ সেন্টার (আরএসআরসি), চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। |
খ. জার্মপ্লাজম মেইনটিন্যান্স সেন্টার (জিএমসি), সাকোয়া, বোদা, পঞ্চগড়। |
|
তুঁতজাতের জার্মপ্লাজম রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম |
বারেগপ্রই, রাজশাহী:
উচ্চফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম |
দেশের আবহাওয়া উপযোগী তুঁতচাষ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।