১। বাংলাদেশ জুট মার্কেটিং কর্পোরেশন ( প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৫৭ সন) ;
২। জুট ট্রেডিং কর্পোরেশন ( প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৭ সন ) ;
৩। বাংলাদেশ জুট এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭২ সন) ;
৪। এ.পি.সি. রেলী বাংলাদেশ লি: (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭১ সন) ;
৫। স্পেশাল প্রপার্টি জুট সেল ( প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৫ সন)।
বিজেসি গঠনের পর সংস্থাটির অব্যবস্থাপনা, বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা হ্রাস, কৃত্রিম তন্তুর ব্যাপক প্রসারের দরুন বিশ্ব বাজারে পাটের চাহিদা হ্রাস পেতে থাকে। ফলে বিজেসি তার পাটের বাজার হারিয়ে অব্যাহত লোকসানের দায়ে পড়ে। এমতাবস্থায় সরকার ১৯৯৩ সনে ২৪/৯৩ আইন বলে বিজেসি বিলুপ্ত করে এবং ২৪৪ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে নিয়ে বিলুপ্ত সেল গঠন করে। বিলুপ্ত কর্পোরেশনের সকল সম্পদ অধিকার/ক্ষমতা কর্তৃত্ব ও সুবিধাদি এবং স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্যান্য সকল দাবী ও অধিকার সরকারে ন্যস্ত করে। বিজেসি বিলুপ্ত সেল-এ বর্তমানে ৪১জন কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্মরত আছে।
বিলুপ্ত বিজেসির প্রেস হাউজ, ক্রয়কেন্দ্র, গুদাম ও অন্যান্য অংগন ও সম্পত্তি বিক্রয় না হওয়া পর্যন্ত ঐগুলির ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা বিধান, রক্ষণাবেক্ষণ বিজেসির মূল দায়িত্ব। সমগ্র বাংলাদেশে বিজেসির প্রায় ১০১৫ কোটি টাকা মূল্যের ২৮৬.১০ একর সম্পত্তি অবিক্রিত রয়েছে। এ পর্যন্ত ৯২টি সম্পত্তি বিক্রয় করা হয়েছে। বিক্রয়লব্দ অর্থের পরিমাণ ২০০.৮৪ কোটা টাকা যা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৪৩টি অংগনের সম্পত্তি বিক্রয়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। এ অবিক্রিত সম্পত্তিতে মামলা মোকদ্দমা, বেদখল ও রেকর্ডপত্রে গরমিল থাকায় বিক্রয় প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে, মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগে ও দেশের বিভিন্ন আদালতে বিজেসির বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২১৮টি ও নিরীক্ষা আপত্তির সংখ্যা ৭১২টি।