২১.০ পটভূমি :
পাট চাষিদের পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, পাটের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং বিদেশে পাটের বাজারের প্রসার ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পাট ক্রয় ও বিপণনের সাথে জড়িত ৫টি প্রতিষ্ঠান যথা: (১) বাংলাদেশ জুট মার্কেটিং করপোরশন (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৫৭), (২) স্পেশাল প্রপার্টি জুট সেল (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৫), (৩) জুট ট্রেডিং করপোরেশন (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৭), (৪) এ পি সি র্যালি বাংলাদেশ লি: (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭১) এবং
(৫) বাংলাদেশ জুট এক্সপোর্ট করপোরেশন (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭২) ১৯৮৫ সালের ১ জুলাই ৩০ নম্বর অধ্যাদেশমূলে একীভূত করে সরকার বাংলাদেশ জুট করপোরেশন (বিজেসি) গঠন করে।
২১.০১ পরিচিতি:
বিশ্ব বাজারে পাটের চাহিদা হ্রাস, অব্যাহত লোকসান ও প্রশাসনিক প্রয়োজনে ১৯৯৩ সালে ২৪ নম্বর আইনবলে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনকে বিলুপ্ত করা হয় এবং এর সকল সম্পত্তি, দায়-দেনা, মামলা সরকারের ওপর ন্যস্ত করা হয়। ১১ অক্টোবর ১৯৯৩ তারিখে বিলুপ্তকৃত সংস্থাটির সম্পদ/সম্পত্তিসমূহ বিক্রয় না হওয়া পর্যন্ত এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্থা গুটানোর লক্ষ্যে ২৪৪ জন কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়। বিলুপ্ত এ প্রতিষ্ঠানে ৩০ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কর্মরত জনবলের মধ্যে স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ ও মৃত্যুজনিত কারণে পদ শূন্য হওয়ায় প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় হতে অতিরিক্ত দায়িত্বে ০২(দুই) জন কর্মকর্তা, বিজেএমসি হতে সংযুক্তিতে ০৭ (সাত) জন কর্মকর্তা ও ০৬ (ছয়) জন কর্মচারী, বিজেসি’র ০২ (দুই) জন স্থায়ী কর্মকর্তা ও ০৩ (তিন) জন স্থায়ী কর্মচারীসহ সর্বমোট ২০ (বিশ) জন স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। সারা দেশব্যাপী সম্পত্তির নিরাপত্তা কাজে দৈনিক ভিত্তিতে অফিস সহাকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ০৭ জন, ৪০ জন শ্রমিক এবং ০৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ সর্বমোট ৫১ (একান্ন) জন জনবল কর্মরত রয়েছে।
২১.০২ বিজেসির কার্যক্রম:
বিলুপ্তকৃত বিজেসির সম্পত্তিসমূহ বিক্রয় করে বিলুপ্ত সেলকে গুটিয়ে নেওয়াই বিজেসি (বিলুপ্ত)-এর প্রধান কাজ। ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনার বাস্তবায়নে সম্পত্তিসমূহ ইজারাভিত্তিতে ভাড়া প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জনকল্যাণমূলক কাজেও ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমানে এ সংস্থার কাজ হচ্ছে বিজেসি (বিলুপ্ত)-এর মালিকানাধীন দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত (১) সম্পত্তিসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও লিজের আওতায় আনা, (২) বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাসমূহ তদারকি করা এবং (৩) এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি পরিশোধ করা। উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠানের আওতায় রংপুর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, চট্রগ্রাম ও খুলনাসহ সর্বমোট ০৫(পাঁচ)টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের বিভিন্ন জেলায় অবিক্রিত মোট ১৬৪টি অংগন রয়েছে। উক্ত অংগনে মোট সম্পত্তি’র পরিমাণ ২৯৪.৩১২৬ একর। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে দখলীয় সম্পত্তির পরিমাণ ৯৯.৩১১ একর এবং বেদখলীয় সম্পত্তির পরিমাণ ১৯৫.০০১৬ একর।
২১.০৪ ভাড়া/লিজ কার্যক্রম:
বর্তমানে সম্পত্তিগুলো বছরভিত্তিক হারে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে একশ টাকা পে-অর্ডার সন্নিবেশিত করে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভাড়া/লিজ আবেদন গ্রহণ করা হয়। যেখানে আইন মোতাবেক নবায়ন করার সুযোগ রয়েছে সেখানে নবায়ন করা হচ্ছে। একইসাথে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে অনেক বছরের বকেয়া ভাড়া আদায়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে জমি ভাড়া/লিজ থেকে নবায়নসহ বকেয়া আদায় হয়েছে প্রায় ১ (এক) কোটি টাকা।
২১.০৫ ভূমি ব্যবস্থাপনা:
ভূমি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জমির দখল/বেদখল/মালিকানা সংক্রান্ত মামলা যেগুলো বছরের পর বছর চলছে। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টসহ সারা দেশব্যাপী জেলাজজ আদালতে মামলাগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছিলো না। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জানুয়ারি- ২০২৩ মাসের মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুসরণে মামলাসমূহ পরিচালনার জন্য ০৩ (তিন) জন প্যানেল আইনজীবী এবং একজন আইন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে দ্রুত এবং কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আইনী বিষয় সুরাহা হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকেও রায় সরকারের পক্ষে এসেছে যা খুবই ইতিবাচক।
২১.০৬ আর্থিক ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা: