১৭.০ পটভূমি:
রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৭/১৯৭২ মূলে ৭৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল পরিচালন কাজ তত্ত্বাবধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮-১৯৮১ সনে আরও ৪টি মিল স্থাপনের মাধ্যমে মিল সংখ্যা দাঁড়ায় (৭৮+৪)=৮২ টি। ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ তারিখে সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতিমালার গেজেটের আওতায় ৩৫টি মিল সাবেক বাংলাদেশী মালিকদের নিকট শর্তসাপেক্ষে সরকার কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়, ৮টি মিলের পুঁজি প্রত্যাহার করা হয় এবং ৭টি মিল সাবেক প্রাইভেটাইজেশন কমিশন (বর্তমানে বিডা)/বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিক্রয় করা হয় এবং সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী “ঢাকাই মসলিন হাউস” প্রকল্পটির জন্য বিজেএমসি’র ১টি মিল (জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ)-কে গত ২০ জুলাই ২০২২ তারিখ বিজেএমসি কর্তৃক বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট বাস্তব দখল হস্তান্তর করা হয়। ফলে মিল সংখ্যা দাঁড়ায় [৮২-(৩৫+৮+৭+২)]= ৩০টি। এর মধ্যে ২০০২ সালে বন্ধ ঘোষিত ২টি মিল (আদমজী জুট মিলস লিঃ ও এবিসি লিঃ) সরকারি আদেশে বেপজার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সাবেক মালিকদের নিকট হস্তান্তরিত মিল সমুহের মধ্যে শর্ত ভঙ্গের কারণে ২০১৪ হতে ২০১৮ সনের মধ্যে সরকার কর্তৃক ৬টি মিল পুনঃগ্রহণ (Take Back) করে বিজেএমসি’র নিকট ন্যস্ত করা হয়। সরকারি আদেশে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি মিলের শ্রমিকদের চাকুরি গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার আওতায় অবসানসহ উৎপাদন কার্যক্রম ০১ জুলাই ২০২০ তারিখ থেকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকারি সিদ্ধান্তে ১৯টি মিল ইজারা প্রদানের উদ্দেশ্যে ৪ দফা EOI আহবান করা হয়। ৮টি মিলের ইজারা চুক্তি সম্পাদন হয়েছে, তন্মধ্যে ৩টি মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন কার্যক্রম চালু হয়েছে।
১৭.০১ বিজেএমসি’র রূপকল্প এবং অভিলক্ষ্য:
রূপকল্প (Vission):
অবকাঠামো ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পাটখাতের উন্নয়ন।
অভিলক্ষ্য (Mission) :
১৭.০২ বিজেএমসি’র কৌশলগত উদ্দেশ্য :
কৌশলগত সাধারণ উদ্দেশ্য :
কৌশলগত আবশ্যিক উদ্দেশ্য :
১৭.০৩ বিজেএমসি’র প্রধান কার্যাবলি:
১৭.০৪ চ্যালেঞ্জসমূহ :
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসরকারি বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ পাটকলসমূহ পুনঃচালুর লক্ষ্যে মিলগুলো লিজ প্রদান করাই বিজেএমসি’র অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। উৎপাদন বন্ধকৃত মিলসমূহের অবসানকৃত শ্রমিকদের সকল পাওনাদি পরিশোধ করা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি প্রদান নিশ্চিত করা, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অর্থ পরিশোধ করা, পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ এবং ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহে বৈদেশিক/দেশীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করা, বেসরকারি মিলসমূহের আধুনিকায়নে সরকারি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করা, বিজেএমসি’র বর্তমান পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জনবল যৌক্তিকীকরণ ও আত্মীকরণ করা, এসডিজি ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে ব্যবস্থাপনার সকল পর্যায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করা এবং ব্যবহার উপযোগী জমিসহ সকল সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা।
১৭.০৫ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :
বিজেএমসি’র ভবিষ্যৎ কার্যক্রম হিসেবে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮, রূপকল্প-২০৪১, এসডিজি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনাসহ বিভিন্ন নীতি পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা, বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত সকল মিল পর্যায়ক্রমে লিজ প্রক্রিয়ায় চালু করা, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মিলসমূহ আধুনিকায়ন এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ করা, বিজেএমসি’র ব্যবস্থাপনার সকল পর্যায়ে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, পাটপণ্যের বহুমুখীকরণে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ এবং গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা, সোনালি ব্যাগের বাণিজ্যিক উৎপাদন চালু করা, মিলগুলোর ব্যবহার উপযোগী জমিসহ সকল সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা। সর্বোপরি বিজেএমসি’কে আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।
১৭.০৬ পরিচালনা পর্ষদ:
মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ নং: ২৭, ১৯৭২ অনুযায়ী বিজেএমসি’র সার্বিক দায়িত্ব ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব একজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন পরিচালক এর সমন্বয়ে গঠিত পরিচালনা পর্ষদ এর উপর ন্যস্ত করা হয়। পরিচালনা পর্ষদে সরকার কর্তৃক প্রেষণে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা চেয়ারম্যান এবং যুগ্মসচিব পদমর্যাদার পাঁচজন পরিচালক ও উপসচিব পদমর্যাদার একজন মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা রয়েছে।
১৭.০৭ এন্টারপ্রাইজ বোর্ড :
মিলসমূহের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তদারকির জন্য প্রতিটি মিলে একটি করে এন্টারপ্রাইজ বোর্ড রয়েছে। বিজেএমসি’র পরিচালকমন্ডলীর মধ্যে একজন সভাপতি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থায়নকারী ব্যাংক এর একজন করে প্রতিনিধি ও বিজেএমসি’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মিলের প্রকল্প প্রধানের সমন্বয়ে প্রতিটি মিলের এন্টারপ্রাইজ বোর্ড গঠিত।
মিলের কার্যক্রম তদারকি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার নিমিত্ত বিজেএমসি’র মিলসমূহকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা এই তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। অঞ্চলসমূহের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে আঞ্চলিক সমন্বয় কর্মকর্তা। আঞ্চলিক সমন্বয় কর্মকর্তা বিজেএমসি প্রধান কার্যালয় এবং মিলসমূহের সমন্বয়সহ অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।
১৭.০৯ বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিলের সংখ্যা :
(ক) জুট মিল................................................................................................................. ২২টি
নন-জুট মিল............................................................................................................. ২টি
বন্ধ মিল (মনোয়ার জুট মিলস লিঃ মামলা জনিত কারণে হস্তান্তর হয়নি) ......................................... ১টি
পুনঃগ্রহণকৃত মিলের সংখ্যা............................................................................................ ৬টি
মোট মিলের সংখ্যা.................................................................................................... ৩১টি