Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ নভেম্বর ২০২২

বিজেএমসি’র সাফল্য

 

সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিগত সময়ে এ সংস্থা পাটশিল্পের সাথে জড়িত বিশাল জনগোষ্ঠি - কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, কর্মচারীদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে এসেছে। বিজেএমসি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সর্বমোট ৬১,২২৩ মে. টন কাঁচা পাট ক্রয় করেছে। স্থানীয় ও বৈদেশিক বাজার হতে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বসাকুল্যে ১২০৭.১৭ কোটি টাকা আয় করেছে; তন্মধ্যে রপ্তানী আয় ৬১০.১৪ কোটি টাকা। পাট হতে সোনালী ব্যাগ উৎপাদন এবং পরীক্ষামূলকভাবে পাট পাতার পানীয় তৈরীতে প্রাথমিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিজেএমসিতে একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। বিজেএমসি’র নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪০০১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিজেএমসি স্পোর্টস টীমের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় শতাধিক পদক অর্জনের কৃতিত্ব রয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলসমূহ চালানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ৪টি (চারটি) মিলের অনুকূলে NOA জারি করা হয়েছে। তন্মধ্যে দু’টি মিলের সাথে লিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে; দু’টি মিলেই ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ১৫-০৩-২০২২ তারিখ পর্যন্ত বন্ধঘোষিত মিলসমূহের অবসায়নকৃত স্থায়ী শ্রমিকদের ৯৭.৮৯%এর চাকুরীর পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট পাওনাদি পরিশোধের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ:

সরকারি বিনিয়োগের পরিবর্তে বেসরকারি বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রায়াত্ত্ব পাটকলসমূহ চালানোর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজেএমসি’র মিলসমূহ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় লিজের মাধ্যমে চালু করাই বিজেএমসি’র অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। উৎপাদন বন্ধকৃত মিলসমূহের অবসায়নকৃত (অবশিষ্ট) শ্রমিকদের সকল পাওনাদি পরিশোধ করা। সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি প্রদান নিশ্চিত করা। বিজেএমসি’র বর্তমান পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জনবল যৌক্তিকীকরণ ও আত্মীকরণ/স্থানান্তর করা। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পিএফ ও গ্রাচুইটির অর্থ পরিশোধ করা। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ এবং ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলসমূহে বৈদেশিক/ দেশীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। বেসরকারি মিলসমূহের আধুনিকায়নে সরকারি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করা। ‍SDG ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে ব্যবস্থাপনার সকল পর্যায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করা। ব্যবহারোপযোগী জমিসহ সকল সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিজেএমসি’র অবসায়নকৃত শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিকরণ।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার - ২০১৮, রুপকল্প - ২০৪১, SDG ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনাসহ বিভিন্ন নীতি পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা। বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত সকল মিল পর্যায়ক্রমে সরকারি নিয়ন্ত্রণে/ পিপিপি/ লিজ প্রক্রিয়ায় চালু করা। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মিলসমূহের আধুনিকায়ন এবং অভ্যন্তরীণ-আর্ন্তজাতিক বাজার সম্প্রসারণ করা। বিজেএমসি’র ব্যবস্থাপনার সকল পর্যায়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। পাটপণ্যের বহুমুখিকরণে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ এবং গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। সোনালী ব্যাগের বাণিজ্যিক উৎপাদন চালু করা। মিলগুলোর ব্যবহারোপযোগী জমিসহ সকল সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা। সর্বোপরি বিজেএমসিকে আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।