স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে বস্ত্র ও পাট খাতের সম্মিলিত অবদান সর্বাধিক, (উল্লেখযোগ্য)। তাছাড়া, কৃষি খাতেও পাটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ১৯৭৬ সালে পাট মন্ত্রণালয় এবং ১৯৭৭ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বস্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে ১৯৮৪ সালে মন্ত্রণালয়সমূহ পুনর্গঠনকালে পৃথকভাবে বস্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। ১৯৮৬ সাল হতে এ দুটি মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ শুরু করে। পরে ২০০৪ সালের ৬ মে পাট মন্ত্রণালয় ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে একীভূত করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় হিসেবে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। এরপর হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পের সুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বস্ত্র ও পাট শিল্প সুদূর অতীত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪% এবং জিডিপি’র প্রায় ১২% অর্জিত হয় বস্ত্র ও পাটখাত থেকে। দারিদ্র বিমোচন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ দু’টি খাতের অবদান অনস্বীকার্য। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ০৮টি দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থা রয়েছে। দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলো হচ্ছে:- (১) পাট অধিদপ্তর (২) বস্ত্র অধিদপ্তর (৩) বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (BJMC) (৪) বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (BTMC) (৫) বাংলাদেশ পাট করপোরেশন (BJC) (৬) বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড (৭) বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড (BSDB) এবং (৮) বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। এর বাইরে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (JDPC); লিকুইডেশন সেল; আদমজী সন্স লিমিটেড এর কার্যক্রমও এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় বর্তমানে বিজেএমসির ৩২টি পাটশিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বিটিএমসির ২৫টি টেক্সটাইল মিল রয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।